সারওয়ার আলম মুকুল: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা- এ যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কেওতা বিক্রেতাদের।
সরেজমিনে উপজেলার মীরবাগ হাট, টেপামধুপুর হাট, ভায়ারহাট, তকিপল বাজার, খানসামার হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি হাটের পানি নিস্কাসনের ড্রেন গুলো হয় পানি দিয়ে ভরাট হয়েছে, নয়তো পানি বেড় হওয়ার জায়গা না থাকায় জলাবদ্দ হয়ে রয়েছে, নয়তো পরিস্কার না করা এবং মাটি দিয়ে ভরাটের কারণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। কোথাও কোথাও ড্রেনগুলো ভেঙ্গে গেছে আবার কোথাও ড্রেনের উপর দোকান তুলে ব্যবসা করছে। ক্রেতা-বিক্রেতার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাট-বাজার গুলোতে নেই বললেই চলে। শৌচাগারের বেহাল দশা, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েলগুলো অকেজো, টোল আদায় হয় ইচ্ছামাফিক, উপজেলায় হাট-বাজারগুলো থেকে সরকার সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করে থাকলেও হাট-বাজার গুলোর উন্নয়নে তেমন কোন পদক্ষেপ নেই। মীরবাগ বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক জানান, হাটের বিশেষ করে মাছ বাজারের ড্রেনের পানি নিস্কাশনের রাস্তা বদ্ধ হয়ে যাওয়া পচা পানির দুর্গন্ধে ক্রেতা বিক্রেতার প্রাণ ওষ্ঠাগত। টেপামধুপরে হাটে আসা কেতা দুদু মিয়া জানান ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পিত ভাবে না থাকায় বর্ষা মৌসুমে হাট-বাজার গুলোর অবস্থা করুন হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃষিতে অভুতপূর্ব উন্নয়নের ফলে হাট-বাজার গুলোতে ব্যাপক ক্রেতা বিক্রেতা সমাগম ঘটে। মহিলা মার্কেটে গুলোর নেই কোন শৃংখলা। যে যার মতো করে দোকান করছেন। টেপামধুপুর হাটে উন্নয়ন কাজ হলেও সমাপ্তির কোন লক্ষন নেই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এলাকার ক্রেতা বিক্রেতাগণ। ক্রেতা বিক্রেতার অভিযোগ ড্রেন গুলো সংস্কার ও পানি নিস্কাশনের কোন বাস্তব মূভি পদক্ষেপ গ্রহন না করায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে তাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। সরকারের এবং ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব থেকে হাট বাজার উন্নায়নের যে অর্থ দেয়া হয় তা সঠিক ভাবে ব্যবহার হয়কিনা তাও দেখার যেন কেউ নেই।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাটের উন্নয়ন ও সংস্কারে কাজ কররে আসছি। ইতো মধ্যে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। আগামীতে এই হাট টিকে একটি আধুনিক মানসম্মত হাটে পরিনত করার তার ইচ্ছা। বিভিন্ন হাটে ক্রেতাদের অভিযোগ হাটের ইজারার অর্থ গ্রহণ করলেও তা কোন কাজে ব্যয় হয়েছে তা জনগণ জানে না। হাট-বাজার গুলোর বেশির ভাগ গলিই কাঁচা। গ্রামের অন্য হাট-বাজার গুলোতে উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি। ইজারাদার তার ইচ্ছা মাফিক টোল আদায় করছেন। টোল আদায়ের কোন তালিকা কোন হাটেই নেই। সব মিলিয়ে কাউনিয়া উপজেলার রাজস্ব আয়ের হাট-বাজার গুলোর অবকাঠামো মূলক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল করা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।