পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ পঞ্চগড়ে আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ও কৃষি বিপনন অধিদপ্তরর আলুর বহুমুখী ব্যবহার ও সংরক্ষণ, বিপনন উন্নয়ন প্রকল্প এই প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাসির উদ দৌলা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আনোয়ারুল হক, শস্য গুদাম আধুনিকীকরণ ও ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ড. ফাতেমা ওয়াদুদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের রংপুরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক এন এম আলমগীর বাদশা, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মুআল্লেমা খানম উপস্থিত ছিলেন।
পরে আলুর তৈরী রকমারী খাবারের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, আলু দিয়ে শুধু সবজি তৈরী করা শুধু নয় আলু দিয়ে রকমারী ও মুখরোচক খাবার তৈরী করা যায়। জেলা পর্যায়ে কৃষি বিপনন অধিদপ্তর নারীদের উদ্যোক্তা তৈরী করে স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিভাবে আলু থেকে মিস্টি, ডিম আলু কম্বো, পটেটো মাশরুম, পটেটো স্মাইলি, আলুর রোল, ফেঞ্চ ফ্রাই সহ নানা খাবার তৈরী করা যায়।এছাড়া জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাপিয়া পাড়া এলাকায় আলু সংরক্ষণোত্তর ব্যবস্থাপনা, গৃহ পর্যায়ে আলু সংরক্ষণ বিপনন কলাকৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে ও কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ, বিপনন উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মশালা বাস্তবয়ন করে।এসময় বক্তারা বলেন, জেলা প্রতিবছর মোট উৎপাদিত আলুর ৭ ভাগের একভাগ হিমাগারে রাখা যায়। বাকী আলু নানা ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিবছর টন টন অনেক আলু নষ্ট হয়ে যায়। তবে মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ করলে হিমাগারের খরচ বেঁচে যায়। কৃষকও অধিক লাভের মুখ দেখেন। এছাড়া মডেল ঘরে পেয়াজ, রসুন, মিস্টি কুমড়া ও বাদাম সহ নানা কৃষি পন্য সংরক্ষণ করা যায়। এতে সব দিক দিয়ে কৃষকেরা লাভবান হবেন।