স্পোর্টস রিপোর্টার: এক কথায় বলা যায় নাটকীয়ভাবেই বাংলাদেশ নারী দল আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তানে সদ্য অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচ দাপট দেখিয়েই জিতেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর একটি জয় পেলেই নিশ্চিত ছিল ভারতের টিকিট। প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পাকিস্তান। আর লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা দুইটা ম্যাচই হেরেছে।
তবে শেষ পর্যন্ত রান রেটের মারপ্যাঁচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাঁপিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বকাপের অষ্টম দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তারপর গতকাল টাইগ্রেসরা বিকালে দেশে ফিরেছেন। ফিরেই জানালেন আল্লাহ কপালে না রাখলে এমনটি হতো না।
দ্বিতীয় বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেরার পর বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি। এ সময় তিনি বলেন, ’টুর্নামেন্টে আমরা প্রথমদিকে ভালোই করেছিলাম। যেহেতু শেষ দিকে আমাদের ঐ সুযোগটা ছিল যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারব। শুরুতে আমরা ভালো চেষ্টা করেছি, তো তার পরও প্রথম তিন ম্যাচে ভালো করার ফলে কিন্তু আমরা সুযোগ পেয়েছি। তবে দুইটা ম্যাচ ভালো করতে পারিনি। থাইল্যান্ডের রান দেখে মনে এতটুক বিশ্বাস ছিল যে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাদের যে টার্গেট ছিল সেটা বিশাল। তার পরও তারা যেভাবে করেছে, আল্লাহ আসলে কপালে না রাখলে হতো না।’
এ বছরের অক্টোবরে ভারতে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এই ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট কেটেছে। বাছাই পর্ব থেকে নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশ পাকিস্তান।
আসন্ন এই টুর্নামেন্ট নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের হাতে সময় রয়েছে এখন আমাদের দায়িত্ব কীভাবে বিশ্বকাপের জন্য আরো ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়। সে জন্য যা যা করা উচিত ইতিমধ্যে বোর্ড তা নিয়ে চিন্তা করছে, এছাড়া খেলোয়াড়রাও এই টুর্নামেন্ট শেষ করে নিজেদের ভুলত্রুটি সুধরাতে সহায়তা করার সুযোগ দেখছে। কেননা যেভাবে বাছাইপর্বে খেলে এসেছি মূল পর্বেও এভাবে খেললে হয়তো ভালো ফলাফলই পাব। যদিও ঐ খানে দলগুলো আরো প্রতিযোগিতাপূর্ণ থাকবে। তো বিশ্বকাপের আগে যেন আমাদের প্রস্তুতি আরো ভালো হয় সেটা লক্ষ্য নিয়ে আগাব।’