প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন বাইডেনের নৈশভোজে

0

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি রওনা হবেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির পর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন তিনি। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্ক সফর শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন যাবেন। ওয়াশিংটন সফর শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাবেন। লন্ডন সফর শেষে ৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেবেন। তিনি নিজের বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন। এ ছাড়া বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসবে। এ ছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও সাধারণ বিতর্ক পর্ব চলাকালীন কিছু উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানেও প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের সভা, যেমন- জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে আরও কিছু সভায় অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির সম্মুখীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এসব সভা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এসব সভায় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসনে সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান জানাবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সেসব দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায় (মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি)। সফর চলাকালীন জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যাবিষয়ক উপদেষ্টা, সদ্য নির্বাচিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে : জাতিসংঘের চলতি ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতর সংলগ্ন বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।